কল্লোল আহমেদ, লালমনিরহাট থেকে
লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাঠে আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল দশটা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলোচিত ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসীরুল কুরআন মাহফিল। ইসলামীক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে, “মত ভেদ যার যার, ইসলাম আমাদের সবার; অমুসলিম জনগোষ্ঠী ইসলামের কাছে আমানত”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশাল এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বনন্দিত ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে থাকবেন লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী এবং আমন্ত্রিত মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার মাওলানা জামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা শাখার আমীর অ্যাডভোকেট আবু তাহের এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকবেন অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাহফুজার রহমান (ইলিয়াস) ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব মিলু। সভাপতিত্ব করবেন সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম।
মাঠ বিভাজন ও প্রস্তুতি
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাহফিলে মুসল্লিদের জন্য ৪টি পৃথক মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য মূল মাঠ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ২য় মাঠ কালেক্টরেট ময়দান, যেখানে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি তাফসীর সম্প্রচার করা হবে। ৩য় মাঠ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে সিপি স্কুল মাঠ, যেখানে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থাও থাকবে।
মহিলাদের জন্য আলাদা মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে লালমনিরহাট স্টেডিয়াম, যেখানে পর্দার ব্যবস্থাসহ এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি মাহফিল উপভোগের সুযোগ থাকবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজা আহমেদ জানান, “ইসলামীক সোসাইটি লালমনিরহাট ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রংপুর বিভাগসহ লালমনিরহাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মাহফিলের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে উপস্থিত থাকবে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে।
আশা করা হচ্ছে, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশাল এ তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
https://slotbet.online/