• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা ও সমন্বয় সভায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁনের অংশগ্রহণ তিতাসে পারভেজ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার নওগাঁয় দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকার ১১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে নাঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাতক্ষীরা শ্যামনগরে রূপান্তরের আয়োজনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ রোধে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় ভ্যানের চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভবদহ সমস্যা সমাধানে নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান খুলনার ফুলতলায় প্রকাশ্য এক যুবক‌কে গুলি ক‌রে হত্যা

সুমনা নামে এক নারীর বিরুদ্ধে বিয়ের ফাঁদে ফেলে স্বামীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

গণজাগরণ প্রতিবেদক / ২৩ বার পঠিত
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

ঝালকাঠিতে মোছাঃ সুমনা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের নামে প্রতারণা করে স্বামীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, শুধু তিনিই নন, তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যরাও এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।

অভিযুক্ত নারী মোসাঃ সুমনা আক্তার (৩৫), ভাই ঝালকাঠির স্ট্যাম্প ভেন্ডার নাঈম তালুকদার, পিতা -মৃতঃ আব্দুল জলিল তালুকদার, ঝালকাঠি সদর উপজেলার নেছারাবাদ কায়েত সড়কের বাসিন্দা।

বর্তমানে তিনি বরিশালের বিমানবন্দর থানার চহুতপুর, কাশিপুর এলাকায় বসবাস করছেন।

অভিযোগপত্রে তার দুই ভাই রাশেদ মেনন তালুকদার ও ছোট ভাই নাঈম তালুকদার, এবং বোনসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে এই প্রতারণার সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, সুমনা প্রতিবার একই কৌশল অবলম্বন করেন—প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন, এরপর বিয়ে করেন, তারপর কাবিননামার টাকার জন্য স্বামীকে চাপ সৃষ্টি করেন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দাবি তুলতে থাকেন, বিশেষ করে স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রের জন্য চাপ দেন।

এরপর দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি করে বিচ্ছেদের পথ তৈরি করেন এবং সালিশের মাধ্যমে কাবিনের টাকা আদায় করেন।

ভুক্তভোগীদের একজন মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল সুমনা তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন।

কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে তালাক দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। একইভাবে, ২০২১ সালের ৪ মার্চ মোঃ সফিউল ইসলাম সৈকতের কাছ থেকেও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।

এছাড়া, সুমনা দীর্ঘদিন ধরে ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন এবং ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও চাইছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দাবি পূরণ না করায় ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

শুধু প্রতারণাই নয়, সুমনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, তিনি তার ডিভোর্স হওয়া স্বামীদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করে থাকেন।

এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে সুমনাকে তার পরিবারের সদস্যরা সহায়তা করে থাকে।

বিশেষ করে তার ভাই রাশেদ মেনন তালুকদার তিনি ঢাকা একটি বেসরকারি চাকরি করেন ও নাঈম তালুকদার ঝালকাঠি স্ট্যাম্প ভেন্ডার হিসেবে আছেন এবং বোন শাহিনুর বেগম ও নজরুল ইসলাম এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে সুমনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুমনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে কেউ যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://slotbet.online/