শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল ও ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে শেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরেজমিন মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় শেরপুর পৌর শহরের নয়ানি বাজারে বাজার পরিদর্শন করেন শেরপুর জেলা পুলিশের অভিভাবক সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম।
পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখেন এবং বাজার দর পর্যবেক্ষণ করেন।
পাশাপাশি, তিনি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করেন।
এ সময় তিনি দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি, ইফতারের সময় ভেজালমুক্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,
“রমজানে সাধারণ জনগণ যেন নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ কাজ করছে।
কেউ যদি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, ইফতার ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যে ভেজাল রোধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করা এবং বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখা।”
একজন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নাজিম সিদ্দিকী বলেন,
“রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু এবার জেলা পুলিশের তৎপরতা দেখে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।
বাজার মনিটরিংয়ের ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। আমরা চাই প্রশাসনের এই নজরদারি পুরো রমজানজুড়ে চলমান থাকুক।”
পুলিশ সুপারের এ পরিদর্শনকালে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/