শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেরপুরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছে। এতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো ২ জন। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ এলাকায় মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
একই মোটরসাইকেলের আরোহী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদল (৪৭), সোহাগ আলম (৩৫) ও রুহুল আমিন পলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা আরো গুরুতর অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আহত সোহাগের অবস্থাও আশংকাজনক।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাদলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং সম্প্রতি জেলা বিএনপির বৈঠককে কেন্দ্র করে স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ক আরও জটিল হয়।
সোমবার বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একই মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাদলসহ তিনজনকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ঢাকায় যাওয়া পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম দৈনিক গণজাগরণ জানান,’এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান চলছে।’
https://slotbet.online/