শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলা উপজেলার শান্ত জনপদে এক নৃশংস ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা এলাকা। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঠাকাটা গ্রামে এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং একজন দিনমজুরের কন্যা ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। প্রধান সন্দেহভাজন আশিক মিয়া (২০), যে টালকী ইউনিয়নের শালুয়া গ্রামের আবু সাইদের পুত্র। তার সাথে আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়া কিশোরী যথাসময়ে ফিরতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাশের ভুট্টা ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর মা ইতোমধ্যে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরও জানান, “আমরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে সর্বাত্মক আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।”
ধর্ষণকারীর দ্রুত শাস্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিয়েছে।
https://slotbet.online/