• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা ও সমন্বয় সভায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁনের অংশগ্রহণ তিতাসে পারভেজ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার নওগাঁয় দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকার ১১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে নাঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাতক্ষীরা শ্যামনগরে রূপান্তরের আয়োজনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ রোধে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় ভ্যানের চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভবদহ সমস্যা সমাধানে নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান খুলনার ফুলতলায় প্রকাশ্য এক যুবক‌কে গুলি ক‌রে হত্যা পটুয়াখালীর উত্তর চারা বুনিয়া ফারুকীয় হাফেজিয়া শিশু সদনে এতিম ও দুস্থদের বরাদ্দের টাকা লুটপাট

রাঙ্গামাটির কাউখালিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে গোলাবারুদ উদ্ধার

গণজাগরণ প্রতিবেদক / ২৭ বার পঠিত
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙামাটি জেলার কাউখালি থানা এলাকায় দূর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে গোলাবারুদসহ বিপুল দ্রব্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে।

০৭ মার্চ (শুক্রবার) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫ ঘটিকায় ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের এ আস্তানায় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়,

তবে তাদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

অভিযান শেষে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত  অনেকগুলো  রাইফেল এ্যমুনিশন,  বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, হার্ডডিস্ক, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং চাঁদা আদায়ের রশিদসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি জব্দ করে।

এটি প্রমাণ করে যে, ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীরা সুসংগঠিত এবং তাদের কার্যক্রম শুধু চাঁদাবাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনারও চেষ্টা করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, গুম, হত্যা,  ও অস্ত্র সংগ্রহসহ স্থানীয় জনগণের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থান নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়।

সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং স্থানীয় জনগণ সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে হলেও মুক্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইউপিডিএফ (মূল) দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং স্থানীয় জনগণের ওপর চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

সেনাবাহিনীর বিশেষ এই অভিযানের ফলে তাদের নেটওয়ার্কে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পালিয়ে যাওয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবসময় তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পার্বত্য

অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই অভিযানের ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানের জন্য সর্বস্তরের জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://slotbet.online/