• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা ও সমন্বয় সভায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁনের অংশগ্রহণ তিতাসে পারভেজ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার নওগাঁয় দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকার ১১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে নাঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাতক্ষীরা শ্যামনগরে রূপান্তরের আয়োজনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ রোধে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় ভ্যানের চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভবদহ সমস্যা সমাধানে নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান খুলনার ফুলতলায় প্রকাশ্য এক যুবক‌কে গুলি ক‌রে হত্যা পটুয়াখালীর উত্তর চারা বুনিয়া ফারুকীয় হাফেজিয়া শিশু সদনে এতিম ও দুস্থদের বরাদ্দের টাকা লুটপাট

রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মুন্সির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

গণজাগরণ প্রতিবেদক / ১৬ বার পঠিত
প্রকাশ: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫


‎ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সাগর মোহনায় মাছ ধরতে হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকে চাঁদা দিতে হবে বলে অভিযোগ উঠেছে।

‎নিখিল হাওলাদার নামে এক জেলে শনিবার সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মুন্সির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।

‎ এছাড়াও সংবাদ সম্মেলন থেকে জেলে নিখিল ওই নেতা ও তার দলবলের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির পাশাপাশি, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশেরও হুমকির অভিযোগ তুলেছেন।

‎সংবাদ সম্মেলনে নিখিল হাওলাদার তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাগর মোহনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সরকার পরিবর্তনের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মুন্সির লোকজন তার কাছ থেকে মাছ ধরার অনুমতির নামে প্রতি জোবায় (নির্ধারিত সময়ে) ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ২০ হাজার টাকা দেন। পরে একইভাবে নজরুল মুন্সি ১০ হাজার টাকা এবং তার খালু হাবিব হাওলাদার ১৪ হাজার টাকা নেন বলে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন নিখিল।

‎এরপর পরবর্তী সময়ে ৪ এপ্রিল মাছ ধরার সময় আবারো ২০ হাজার টাকা দাবি করেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় নজরুল ইসলামের লোকজন তার মাছ ধরার ট্রলার জোরপূর্বক নিয়ে যায় ।

‎এদিকে পরদিন স্থানীয়দের কাছে তিনি বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা তার বক্তব্যে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয় নিখিলের বাড়িতে গিয়ে তাকে ভয়ভীতি, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধরের হুমকি দেন । পরে তারা নিখিলকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করে ভিডিও ধারন করে নিয়ে যায়। তিনি বিষয়টি পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।

‎বর্তমানে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না এবং তার পরিবারও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সকলের কাছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ন্যায়বিচার কামনা করেছেন।



‎সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চরমোন্তোজ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাসুদ প্যাদা, ইউপি সদস্য হাজী মো: মিজানুর রহমান গাজী, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোশারেফ হোসেন, দীপরাজ মজুমদার প্রমুখ।

‎তবে এ অবিয়োগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মুন্সির। তিনি বলেন, আসলে জেলে নিখির সাগর মোহনায় অবৈধ ভাবে পোনা ধরে খুলনায় বিক্রি করে আসছে। সেখানকার মহাজনদের দাদনও নিয়ে জেলেদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। অবৈধ জাক করতে নিষেধ করার এভাবে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

‎রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, এমারত হোসেন বলেন, জেলে নিখিল একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। দুই পক্ষকে ডাকার পর নিখিল উপস্থিত হয়নি। এছাড়াও নিখিল বিষয়টি মিমাংসার কথা বলেন।

‎রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, জেলে নিখিলের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।


এই বিভাগের আরো খবর
https://slotbet.online/