গণজাগরণ প্রতিবেদকঃ
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের কার্যক্রম আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ফিসের টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি নিলে ওই কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ মার্চ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে প্রদর্শিত সম্ভাব্য তালিকা হতে অনলাইনে পরীক্ষার্থী নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এজন্য সোনালী সেবার মাধ্যমে ফিস জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, (ক) একই নামের একাধিক শিক্ষাথী থাকলে প্রকৃত পরীক্ষার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্বাচন করতে হবে,
যাতে প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কোন শিক্ষার্থীর নাম নির্বাচিত না হয়। অনুরূপ ভুলের জন্য যাবতীয় দায় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে। নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের তালিকা মুদ্রণ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
বিলম্ব ফি সহ সোনালী সেবার মাধ্যমে পরীক্ষার ফিসের টাকা জমা দেয়ার শেষ সময় ১২ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ।
বোর্ডের নির্ধারিত ফি হচ্ছে বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৭৮৫ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৯৩০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৮৫৫ টাকা। বোর্ডের নির্ধারিত ফি হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় ২ হাজার ২২৫ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ১ হাজার ৭৩০ টাকা , কেন্দ্র ফি ৪৯৫ টাকা।
এই টাকার মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি পত্র প্রতি ১১০ টাকা ব্যবহারিক ফি পত্র প্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১০০ টাকা,
সনদপত্র ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১৫০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ২৫ টাকা। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি পত্র প্রতি ১১০ টাকা ব্যবহারিক ফি পত্র প্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ ফি প্রতি
পরীক্ষার্থী ১০০ টাকা, সনদ পত্র ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১৫০ টাকা, অনিয়মিত ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ২৫ টাকা।
জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি পত্র প্রতি ১১০ টাকা ব্যবহারিক ফি পত্র প্রতি ২৫ টাকা,একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১০০ টাকা, সনদ পত্র ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১৫০ টাকা, তালিকাভুক্ত ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১০০ টাকা,রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ২৫ টাকা।
যে সকল পরীক্ষার্থী ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে (চতুর্থ বিষয় বাদে) অকৃতকার্য হয়েছে কিংবা অনুপস্থিত হয়েছে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে তারা ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় উক্ত বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
আংশিক বিষয়ে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীগণ কখনই চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে পরীক্ষার্থীগণ ইচ্ছা করলে এক বা দুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে চতুর্থ বিষয়সহ সকল বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য বা অনুপস্থিত প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের এক বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে তাদেরকে অনুচ্ছেদ ৫ (ঘ) মোতাবেক তিনশত টাকা হারে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি প্রদান করতে হবে।
যে সব পরীক্ষার্থী ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে বহিষ্কার হয়েছে এবং শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২, ২০২৩ ও২০২৪ সালের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে তারা ২০২৫ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২০২০-২০২১ সেশনের পূর্বের রেজিস্ট্রেশনধারী কোন পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে ২০১৯-২০২০
সেশনের এক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করে এক বিষয়ের (চতুর্থ বিষয় বাদে) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল অধ্যক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
https://slotbet.online/