• বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা ও সমন্বয় সভায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁনের অংশগ্রহণ তিতাসে পারভেজ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার নওগাঁয় দৈনিক প্রথম কথা পত্রিকার ১১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে নাঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাতক্ষীরা শ্যামনগরে রূপান্তরের আয়োজনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ রোধে গণ শুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় ভ্যানের চাপায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভবদহ সমস্যা সমাধানে নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান খুলনার ফুলতলায় প্রকাশ্য এক যুবক‌কে গুলি ক‌রে হত্যা পটুয়াখালীর উত্তর চারা বুনিয়া ফারুকীয় হাফেজিয়া শিশু সদনে এতিম ও দুস্থদের বরাদ্দের টাকা লুটপাট

মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কারাগারে, পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম

বিশেষ প্রতিনিধি / ৮৩ বার পঠিত
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন।

এর আগে সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে তিন মাসের জামিনে ছিলেন। সুব্রত কুমার সবশেষ রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।

দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আকতারুজ্জামান। এ মামলায় বাকি চার আসামি জামিনে আছেন। আর বাকি একজন পলাতক রয়েছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ মে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়ার্টার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ওই বছর ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন পুলিশে চাকুরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুল ইসলাম।

মামলায় আসামি করা হয় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে। পরে চলতি বছরের ১১ জুলাই সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এছাড়া ঘটনায় জড়িত না থাকায় হায়দার ফরাজী নামে এক আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান।

মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান আসামি সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তিনি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা কারাভোগ শেষে নিম্ন আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।’

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুব্রত কুমার হালদার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সুব্রত কুমারের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে দুদক।’

উলে­খ্য, মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার সর্বশেষ রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। অপর দিকে কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান বরখাস্ত।

এদিকে পিয়াস বালা চাকুরিচ্যুৎ। পুলিশের নিয়োগ কমিটির তিন সদস্যদের মধ্যে সভাপতি ও প্রধান ছিলেন মাদারীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। এছাড়া বাকি সদস্য ছিলেন-মাদারীপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।


এই বিভাগের আরো খবর
https://slotbet.online/