চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দক্ষিণ কোয়েপাড়ায় মাদকের রমরমা ব্যবসা। সাথে জমি দখল থেকেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলার আসামি সন্তোষ চক্রবর্ত্তী ওরফে মধু ওই এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, সন্তোষ চক্রবর্ত্তীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে রাউজানসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।
অতীতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন। তবুও এলাকায় তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বহাল রয়েছে।
সম্প্রতি ১১ জুন কোয়েপাড়া গ্রামে পারিবারিক সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে ভুক্তভোগী পক্ষ থানায় অভিযোগ জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তারা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ওই এলাকায় মদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সন্তোষ চক্রবর্ত্তী মধু।
তার হয়ে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারা মাদক ব্যবসার পাশাপাশি জমি দখল, হুমকি-ধামকি ও চাঁদাবাজিতে জড়িত বলে দাবি এলাকাবাসীর।
একজন ভুক্তভোগী জানান, “প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেও আমরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
মধু প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, তার সাথে পুলিশ, র্যাব, এমনকি প্রশাসনের ওপর মহলের সম্পর্ক আছে।”
স্থানীয়দের মতে, তিন মাস আগে কোয়েপাড়া গ্রামে রাজেশ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি খুন হন।
এলাকাবাসীর দাবি, ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনেও সন্তোষ চক্রবর্ত্তীর হাত থাকতে পারে। তারা মনে করেন, মধুকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে রাউজান থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “যে কোনো অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে এলাকা থেকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করা হোক। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ১৭ জুন আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
https://slotbet.online/