কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকায় নিজস্ব জায়গা জমি ছেড়ে রাসেল কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড এর লাইট হাউজ পাড়া এলাকায়। লাইট হাউজ এসে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য।
রাসেলের আওতায় থাকা মাদক-ইয়াবা, গাঁজা, মদ সহ ইত্যাদি বিক্রির ধূম দিন দিন বেড়েই চলছে! সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- দিনের শুরুর সকাল ৯ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার এ মাদক ব্যবসা।
বিভিন্ন রকম মাদক ইয়াবা, বিদেশি মদ, গাঁজা, ও পতিতা সরবরাহের জন্য রয়েছে তার একটি সিন্ডিকেট। যেখানে উঠতি বয়সের কিছু ছেলে, যেখানে মূল হোতা রাসেলের আওতায় রয়েছে লাইট হাউজ,কটেজ জোন, সি পাল ১/২ গলি ও সৈকত পাড়া, অনুসন্ধান এ দেখা যায় সৈকত পাড়া নূর জামে মসজিদ এর পাশের পাহাড় এ রয়েছে মূল হোতা রাসেলের পালিত বেশ কয়েকজন ছেলে। যাদের কাছে মজুদ রাখেন রাসেল এর মাদক ইয়াবা ও বিদেশি মদ,যেখানে মূল হোতা রাসেলের আদেশ পড়লেই মাদক নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসে কয়েজন ছেলে যারা বিভিন্ন হোটেল এ গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসেএ মাদক। সরেজমিনে বেশ কয়েকজন এর নাম ওঠে আসে।
এরা হলো সোনা মিয়া, মো; ইসমাইল, মো: শাহাবুদ্দিন, লুতু মিয়া,রশিদ ওরফে বার্মাইয়া রশিদ, মোস্তফা কামাল, মো: সোবাহান, মো: হুমায়ন ও মোঃ হাবিব। হাবিব বর্তমান ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। আরও রয়েছে মোছাঃরুবি ওরফে ইয়াবা রুবি, ফাতেমা বেগম ওরফে কালা ফাতেমা, ও মোঃ শফিক। এরাই মূল হোতা রাসেল এর পাওয়ার চালিয়ে সৈকত পাড়া এলাকার হোটেল মোটেল জোনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিদেশি মদ ও ইয়াবার কারবার। এরা সবাই নিরাপদে থাকার জন্য বেঁছে নিয়েছে, সৈকত পাড়া নূর জামে মসজিদ এর পেছনের পাহাড়, যেটা বাঘগোনা এলাকা নামে পরিচিত। তাদের বসবাস পাহাডে হওয়াতেই তারা প্রসাশনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন হোটেলের বয় থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাট মালিকদের ইয়াবা ও বিদেশি মদ সরবরাহ করে থাকেন। উল্লেখযোগ্য বিদেশি রাম,রয়েল উইছকি কে ডুবলিকেট করে বাংলা মদের সাথে বিভিন্ন রকম মারাত্মক কেমিকেল মিশিয়ে ডুবলি রাম রয়েল উইছকি তৈরি করে দীগুন বানিয়ে রাখেন। যা তৈরির অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিতি নিয়ে খেতাব অর্জন করে ইতিমধ্যে তার নতুন নাম হয়েছে টুইং রাসেল।পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোনের, হোটেল গ্রীন প্যালেস, দরিয়া বিলাস, সমুদ্রপরী, মাসকাট হলিডে রিসোর্ট,কক্স ভেলী রিসোর্ট,সী পাল ওয়ান টু থেকে খালি বোতল সংগ্রহ করে ডোবলি করেন বলে যানা যায়।
খালি বোতল সংগ্রহ করতে এসব হোটেল গুলোর বয় ছেলেরা ও বুয়ারা এই মাদক সম্রাট কে সাহায্য করে বলে জানা যায়।এবং এই মাদক সম্রাটের সবচেয়ে বেশি মাদক অর্ডার কনফার্ম করা হয় এসব আবাসিক হোটেল থেকে! দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে আবাসিক এপার্টমেন্ট দরিয়া বিলাস ও সাইমন ব্লু এর সামনে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে এসব টুইং বোতল তৈরি করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে এই মাদক সম্রাট রাসেল ওরফে টুইং রাসেল! তার পকেটে সব সময় ইয়াবা গাঁজা সহ বিভিন্ন রকম মাদক স্টক থাকে বলে জানা যায়, মাদক শেষ হলে, তার পালিত সৈকত পাড়া এলাকার ছেলেদের থেকে কলদিয়ে তার কাছে নিয়ে আসেন মাদক। এলাকা বাসিরা জানায় অতি দ্রুত এই মাদক সম্রাটও মাদক সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় মাদকের রমরমা বাণিজ্য হয়ে ওঠবে যা ওঠতি কমবয়সী ছেলে মেয়েদের বিপথগামী করবে।
https://slotbet.online/