• শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
জয়পুরহাটে রক্তদান সোসাইটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বীরগঞ্জের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকীকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা ইরান – ইসরায়েলের যুদ্ধ কোন পথে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সুযোগ্য চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রচেষ্টার ফসল: উন্মুক্ত করা হলো পাইকগাছার নাছিরপুর খাল লালমনিরহাটে বিসিক কর্মকর্তা রুহুল আমিনের পদোন্নতি প্রাপ্তিতে শুভেচ্ছা নোয়াখালীতে করোনায় ১জনের মৃত্যু: শনাক্ত-৩ তিতাসে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত বীরগঞ্জের ঢেপা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন: দ্রুত বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস সাতক্ষীরার ভোমরা টু পদ্মশাঁখরা সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত: দুর্ঘটনার আশঙ্কা বীরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পিবিআই
নোটিশ
ভিন্ন মাত্রার দৈনিক গণজাগরণ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম।

আজ বিশ্ব টেলিভিশন দিবস

বিশেষ প্রতিনিধি / ১২৮ বার পঠিত
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

টেলিভিশন বিশ্বায়ন এবং আধুনিক যোগাযোগের প্রতীক। এটি আমাদের শিক্ষা দেয়, তথ্য সরবরাহ করে, বিনোদন প্রদান করে এবং আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মতামত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

টেলিভিশনের নাম ও উৎপত্তি

গ্রিক শব্দ ‘টেলি’ অর্থ দূরত্ব এবং লাতিন শব্দ ‘ভিশন’ অর্থ দেখা। এই দুটি শব্দ মিলে টেলিভিশনের অর্থ দাঁড়ায় ‘দূরদর্শন’। ১৯২৬ সালের ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। এই অবিস্মরণীয় আবিষ্কারের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতিসংঘ ১৯৯৬ সালে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

প্রথম সম্প্রচার থেকে বাণিজ্যিক টেলিভিশনের যাত্রা

টেলিভিশন আবিষ্কারের পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবার্গের সহায়তায় ১৯৩৬ সালে বিবিসি প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে। এরপর, ১৯৪০ সালে শুরু হয় বাণিজ্যিক টেলিভিশনের যুগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে, যা ৫০-এর দশকে গণমাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করে।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস

বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সাদা-কালো সম্প্রচারের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৮০ সালে রঙিন সম্প্রচার চালু করে। বর্তমানে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টিভি সরকারি চ্যানেল হিসেবে কার্যকর। পাশাপাশি দেশে ৪৪টি বেসরকারি চ্যানেলের অনুমোদন রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি বর্তমানে সম্প্রচারে সক্রিয়।

টেলিভিশনের আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা

টেলিভিশন মানুষের দৈনন্দিন খবর সংগ্রহ এবং জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। যদিও কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের আবির্ভাবের ফলে বিনোদন ও সংবাদ পরিবেশনের ধরন অনেকটাই বদলেছে, তবুও টেলিভিশন এখনও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রধান মাধ্যম হিসেবে টিকে আছে। এসব অঞ্চলে, যেখানে মোবাইল ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ফিচার ফোন ব্যবহার করেন, সেখানে টেলিভিশনই বিনোদনের মূল উৎস।

টেলিভিশনের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ

টেলিভিশন একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম, যা আমাদের শিক্ষা, তথ্য ও বিনোদন সরবরাহের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। প্রযুক্তির বিবর্তন সত্ত্বেও টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব কমেনি। এটি আজও মানুষকে সংযুক্ত করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে এবং বিশ্বব্যাপী সমাজের চিন্তা-চেতনা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে টেলিভিশন শুধু একটি বিনোদন মাধ্যম নয়, এটি শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগের এক অনন্য উৎস।


এই বিভাগের আরো খবর
https://slotbet.online/